টেনিস বল আমদানির কথা থাকলেও আমদানিকারকরা আনছেন নিষিদ্ধ পণ্য আফিম!
টেনিস বল আমদানির কথা থাকলেও আমদানিকারকরা আফিম আনছেন- এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে মোংলা সমুদ্র বন্দর জেটিতে ঘোষণা বর্হিভূত আমদানি নিষিদ্ধ চার কন্টেইনার আফিম জব্দ করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার এই আফিম জব্দ করেছে মোংলা কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
গণমাধ্যমকে তথ্যটি নিশ্চিত করে মোংলা কাস্টমস হাউজের কমিশনার মো. হোসেন আহম্মেদ বলেন, নিষিদ্ধ এই পণ্য আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ঢাকার আয়শা ও তাজ ট্রেডার্স এবং স্থানীয় শিপিং এজেন্ট খুলনার মেসার্স ওশান ট্রেড লিমিটেড। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি বলেন, টেনিস বল আমদানির কথা থাকলেও আমদানিকারকরা আফিম আনছেন-এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে নিষিদ্ধ পণ্য আফিম জব্দ করা হয়েছে। বন্দরের ২ নম্বর জেটিতে আমদানিকৃত ২০ ফিটের চারটি কন্টেইনারে করে এই আফিম আনা হয়।
মোংলা বন্দরের সহকারী ট্রাফিক ম্যানেজার মো. সোহাগ বলেন, নিষিদ্ধ এই পণ্য নিয়ে গত ১০ আগস্ট সাইপ্রাসের পতাকাবাহী জাহাজ ‘এমভি স্যানজোর্জিও’ জেটিতে আসে। জাহাজটিতে থাকা ৩১৭টি কন্টেইনারের মধ্যে চারটিতে আফিম ছিল। গোপন সংবাদে জাহাজটি বন্দর জেটিতে আসার আগেই কন্টেইনার আটক করা হয়। এরপর জেটিতে আসার পরে কন্টেইনারগুলোকে সংরক্ষিত করে রাখা হয়। আজ দুপুরে কন্টেইনার খুলে আফিম জব্দ করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে ‘এমভি স্যানজোর্জিও’ স্থানীয় শিপিং এজেন্ট মেসার্স ওশান ট্রেড লিমিটেডের খুলনার সহকারী ম্যানেজার মো. মেহেদি হাসান বলেন, তারা শুধু ওই জাহাজে থাকা কন্টেইনারগুলো আমদানি করেছে। তবে কন্টেইনারের মধ্যে কী পণ্য ছিল সেটা তাদের জানা ছিল না।
পণ্য আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ঢাকার মের্সাস তাজ ট্রেডার্সের মালিক মো. সাব্বির হোসেন দাবি করেন, দেশে আসা পণ্য তিনি আমদানি করেননি। টেনিস বল আমদানির জন্য টাকা পাঠিয়েছিলেন। এটা ভুল করে মালয়েশিয়ার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স নিউসাইন কর্পোরেশন পাঠিয়ে থাকতে পারে। কারণ তারা টেনিস বল বিক্রির পাশাপাশি আফিমও বিক্রি করে।
বাগেরহাট চেম্বার অব কমার্সের নেতা মো. কবির হোসেন বলেন, পণ্য আমদানিকারদের বক্তব্য হাস্যকর। এটা তাদের নাটক। তারা বন্দরের ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই এগুলো আমদানি করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।